পৃথিবীর সর্বপ্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রাম

1:50 pm Unknown 0 Comments

জ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগেকার কথা। সময়টা ছিলো ১৯৪২ সাল। আমেরিকার সরকার টপ সিক্রেট একটি প্রজেক্ট হাতে নিলো- আমেরিকার সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রাম করতে হবে। এজন্য ডাক পড়লো ৬জন গণিতবিদের। রাত-দিন অমানুষিক পরিশ্রম করে তারা এমন একটি কম্পিউটার তৈরিতে সক্ষম হন যা তখনকার দিনের অন্য যেকোনো মেশিনের তুলনায় ১০,০০০ গুণ দ্রুততার সাথে কাজ করতে পারতো। এত বিশাল অবদান সত্ত্বেও মানবজাতি অনেকদিন ধরেই তাদের এ অবদানটির কথা জানতে পারে নি। কারণ? কারণ তারা ছিলেন নারী! ৬ জনের এ দলের সদস্যরা হলেন- বেটি জিন জেনিংস বার্টিক, ক্যাথলিন ম্যাকনাল্টি মোশলে আন্তোনেলী, রুথ লিচারম্যান টীটেলবাম, ফ্রান্সিস বিলাস স্পেন্স, মার্লিন ওয়েস্কফ মেল্টযার এবং বেটি স্নাইডার হোলবার্টন। তারা যে মেশিনটির প্রোগ্রামিংয়ে হাত দিয়েছিলেন তার নাম এনিয়াক (ENIAC – Electronic Numerical Integrator And Computer)। যদিও এনিয়াক বানানোর কাজটি অধিকাংশই পুরুষদের করা, কিন্তু এর প্রোগ্রামিংয়ের কৃতিত্ব পুরোটাই ৬জনের এ দলটির প্রাপ্য। মজার ব্যাপার হলো, তাদের এ দলটিকে তখন চমৎকার এক নামে ডাকা হতো- ‘কম্পিউটার্স (Computers)’। দলের প্রত্যেক সদস্যই ছিলেন টপ ম্যাথম্যাটিকস গ্র্যাজুয়েট। তাদের দায়িত্ব ছিলো কম্পিউটারকে চিন্তা করতে শেখানো। রাত-দিন ধরে অসংখ্য ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম নিয়ে পড়ে থাকতে হতো তাদের। শেষ পর্যন্ত তারা যখন সফল হলেন তখন এনিয়াকে ছিলো ১৭,৪৬৮টি ভ্যাকুয়াম টিউব, ৭,২০০টি ক্রিস্টাল ডায়োড, ১,৫০০টি রিলে, ৭০,০০০ রেজিস্টর, ১০,০০০ ক্যাপাসিটর এবং প্রায় ৫,০০০,০০০ হাতে ঝালাই করা জয়েন্ট!
এত বিশাল এক কাজ সারার পর তাদের প্রাপ্তি? রিপোর্টাররা যখন এনিয়াককে নিয়ে রিপোর্ট করতে আসলো, তখন তাদেরকে তারা ভেবেছিলো স্রেফ মডেল! সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের প্রশংসাপত্র দেয়া হয়। কিন্তু ওটুকুই, প্রজেক্টিতে অফিসিয়ালি তাদের কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয় নি। যে রাতে এনিয়াককে উদ্বোধন করা হয়, সেই রাতের ডিনার পার্টিতে তাদের পুরুষ সহকর্মীরা আমন্ত্রণ পেলেও তাদের ভাগ্যে সেটিও জোটেনি! এভাবেই কেটে যায় প্রায় পঞ্চাশটি বছর। অবশেষে এনিয়াকের সাথে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। ১৯৯৭ সালে উইমেন ইন টেকনোলজি হল অফ ফেমে জায়গা করে নেন এ ৬ নারী। একই বছর হোলবার্টন জিতে নেন অগাস্টা আডা লাভলেস অ্যাওয়ার্ড- কম্পিউটারে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ প্রদত্ত অন্যতম সম্মানজনক এক পুরষ্কার। ১৫ই ফেব্রুয়ারিকে ‘এনিয়াক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই সম্মানার্থে। তাদের নিয়ে ২০১৪ সালে একটি ডকুমেন্টরি বানানো হয়েছিলো, নাম ‘দ্য কম্পিউটার্স’। ২০১৫ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিয়ারদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় যার নাম ছিলো ‘হোলবার্টন স্কুল’।
আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগেকার কথা। সময়টা ছিলো ১৯৪২ সাল। আমেরিকার সরকার টপ সিক্রেট একটি প্রজেক্ট হাতে নিলো- আমেরিকার সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রাম করতে হবে। এজন্য ডাক পড়লো ৬জন গণিতবিদের। রাত-দিন অমানুষিক পরিশ্রম করে তারা এমন একটি কম্পিউটার তৈরিতে সক্ষম হন যা তখনকার দিনের অন্য যেকোনো মেশিনের তুলনায় ১০,০০০ গুণ দ্রুততার সাথে কাজ করতে পারতো। এত বিশাল অবদান সত্ত্বেও মানবজাতি অনেকদিন ধরেই তাদের এ অবদানটির কথা জানতে পারে নি। কারণ? কারণ তারা ছিলেন নারী! ৬ জনের এ দলের সদস্যরা হলেন- বেটি জিন জেনিংস বার্টিক, ক্যাথলিন ম্যাকনাল্টি মোশলে আন্তোনেলী, রুথ লিচারম্যান টীটেলবাম, ফ্রান্সিস বিলাস স্পেন্স, মার্লিন ওয়েস্কফ মেল্টযার এবং বেটি স্নাইডার হোলবার্টন। তারা যে মেশিনটির প্রোগ্রামিংয়ে হাত দিয়েছিলেন তার নাম এনিয়াক (ENIAC – Electronic Numerical Integrator And Computer)। যদিও এনিয়াক বানানোর কাজটি অধিকাংশই পুরুষদের করা, কিন্তু এর প্রোগ্রামিংয়ের কৃতিত্ব পুরোটাই ৬জনের এ দলটির প্রাপ্য। মজার ব্যাপার হলো, তাদের এ দলটিকে তখন চমৎকার এক নামে ডাকা হতো- ‘কম্পিউটার্স (Computers)’। দলের প্রত্যেক সদস্যই ছিলেন টপ ম্যাথম্যাটিকস গ্র্যাজুয়েট। তাদের দায়িত্ব ছিলো কম্পিউটারকে চিন্তা করতে শেখানো। রাত-দিন ধরে অসংখ্য ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম নিয়ে পড়ে থাকতে হতো তাদের। শেষ পর্যন্ত তারা যখন সফল হলেন তখন এনিয়াকে ছিলো ১৭,৪৬৮টি ভ্যাকুয়াম টিউব, ৭,২০০টি ক্রিস্টাল ডায়োড, ১,৫০০টি রিলে, ৭০,০০০ রেজিস্টর, ১০,০০০ ক্যাপাসিটর এবং প্রায় ৫,০০০,০০০ হাতে ঝালাই করা জয়েন্ট!
এত বিশাল এক কাজ সারার পর তাদের প্রাপ্তি? রিপোর্টাররা যখন এনিয়াককে নিয়ে রিপোর্ট করতে আসলো, তখন তাদেরকে তারা ভেবেছিলো স্রেফ মডেল! সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের প্রশংসাপত্র দেয়া হয়। কিন্তু ওটুকুই, প্রজেক্টিতে অফিসিয়ালি তাদের কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয় নি। যে রাতে এনিয়াককে উদ্বোধন করা হয়, সেই রাতের ডিনার পার্টিতে তাদের পুরুষ সহকর্মীরা আমন্ত্রণ পেলেও তাদের ভাগ্যে সেটিও জোটেনি! এভাবেই কেটে যায় প্রায় পঞ্চাশটি বছর। অবশেষে এনিয়াকের সাথে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। ১৯৯৭ সালে উইমেন ইন টেকনোলজি হল অফ ফেমে জায়গা করে নেন এ ৬ নারী। একই বছর হোলবার্টন জিতে নেন অগাস্টা আডা লাভলেস অ্যাওয়ার্ড- কম্পিউটারে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ প্রদত্ত অন্যতম সম্মানজনক এক পুরষ্কার। ১৫ই ফেব্রুয়ারিকে ‘এনিয়াক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই সম্মানার্থে। তাদের নিয়ে ২০১৪ সালে একটি ডকুমেন্টরি বানানো হয়েছিলো, নাম ‘দ্য কম্পিউটার্স’। ২০১৫ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিয়ারদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় যার নাম ছিলো ‘হোলবার্টন স্কুল’।

You Might Also Like

0 comments: